ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ন্যাশনাল ব্যাংকের বিবৃতি প্রদান করা অপ্রাসঙ্গিক

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
  • ৮২৯ পঠিত

সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালক দ্বারা এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অতিরিক্ত এমডি নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় গত বুধবার ব্যাখ্যা দিয়েছিল ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে সিকদার গ্রুপ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ন্যাশনাল ব্যাংক সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন। ওই বিবৃতিতে এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নির্যাতনের ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করা হয় এবং এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। আজ এই বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে জবাব দিয়েছে আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে মামলা করা হয়েছে, তাতে ন্যাশনাল ব্যাংকরে বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের বিবৃতি প্রদান করা অপ্রাসঙ্গিক এবং প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা মাত্র। ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এক্সিম ব্যাংকের জনৈক পরিচালক কিংবা তার মেয়ে ও বাদীর ঋণ গ্রহণ এবং উপযুক্ত জামানত না থাকার বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। এ ঘটনার সঙ্গে যার লেশমাত্র সম্পর্ক নেই। আশ্চর্যজনক যে, একটি পাবলিক ব্যাংক জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার দিকে বিন্দুমাত্র লক্ষ্য না করে অবান্তর বিষয় অবতারণা করছে। ন্যাশনাল ব্যাংক ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলকারীদের এবং অপরাধীদের সহায়তা করে বিবৃতির মাধ্যমে ব্যাংক খাত ও ওই ব্যাংককে কলুষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যদি কোনো ঋণ বিষয়ে কোনো অনিয়ম থেকে থাকে, তা অবশ্যই ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দায়ভার নিতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে রন হক সিকদার কর্তৃক এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ এবং ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়, যা সর্বৈবই মিথ্যা। সিকদার গ্রুপ এক্সিম ব্যাংকের দীর্ঘদিনের গ্রাহক এবং ঋণগ্রহীতা। ৫০০ কোটি ঋণ গ্রহণের জন্য নিরাপত্তা জামানতে ঘোষিত মূল্য ও বাজার মূল্যে ফারাক থাকায় এবং জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় এমডি ও অতিরিক্ত এমডি বিষয়টি অবতারণা করেন এবং দ্বিমত পোষণ করেন। এরপর মামলার আসামি রন হক সিকদার ত্রোধান্বিত হয়ে এমডি ও অতিরিক্ত এমডিকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করেন, যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর তাদের গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতনসহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সাক্ষর আদায় করা হয়।

এ মামলার বাদী ও ভিকটিমের নিকট ঘটনা প্রমাণের যথেষ্ট সাক্ষ্য ও প্রমাণ রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তা প্রদর্শন ও প্রমাণ করা হবে। ন্যাশনাল ব্যাংক একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যার বিরুদ্ধে মামলার বাদী কিংবা ভিকটিমদের কোনো অভিযোগ নেই। এরপরও ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যাংকিং নিয়ম কানুন এবং সুনাম ক্ষুণ্ন করে ব্যাংকটিকে কলুষিত করছে।

জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

ন্যাশনাল ব্যাংকের বিবৃতি প্রদান করা অপ্রাসঙ্গিক

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালক দ্বারা এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অতিরিক্ত এমডি নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় গত বুধবার ব্যাখ্যা দিয়েছিল ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে সিকদার গ্রুপ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ন্যাশনাল ব্যাংক সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন। ওই বিবৃতিতে এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নির্যাতনের ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করা হয় এবং এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। আজ এই বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে জবাব দিয়েছে আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে মামলা করা হয়েছে, তাতে ন্যাশনাল ব্যাংকরে বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের বিবৃতি প্রদান করা অপ্রাসঙ্গিক এবং প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা মাত্র। ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এক্সিম ব্যাংকের জনৈক পরিচালক কিংবা তার মেয়ে ও বাদীর ঋণ গ্রহণ এবং উপযুক্ত জামানত না থাকার বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। এ ঘটনার সঙ্গে যার লেশমাত্র সম্পর্ক নেই। আশ্চর্যজনক যে, একটি পাবলিক ব্যাংক জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার দিকে বিন্দুমাত্র লক্ষ্য না করে অবান্তর বিষয় অবতারণা করছে। ন্যাশনাল ব্যাংক ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলকারীদের এবং অপরাধীদের সহায়তা করে বিবৃতির মাধ্যমে ব্যাংক খাত ও ওই ব্যাংককে কলুষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যদি কোনো ঋণ বিষয়ে কোনো অনিয়ম থেকে থাকে, তা অবশ্যই ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দায়ভার নিতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে রন হক সিকদার কর্তৃক এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ এবং ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়, যা সর্বৈবই মিথ্যা। সিকদার গ্রুপ এক্সিম ব্যাংকের দীর্ঘদিনের গ্রাহক এবং ঋণগ্রহীতা। ৫০০ কোটি ঋণ গ্রহণের জন্য নিরাপত্তা জামানতে ঘোষিত মূল্য ও বাজার মূল্যে ফারাক থাকায় এবং জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় এমডি ও অতিরিক্ত এমডি বিষয়টি অবতারণা করেন এবং দ্বিমত পোষণ করেন। এরপর মামলার আসামি রন হক সিকদার ত্রোধান্বিত হয়ে এমডি ও অতিরিক্ত এমডিকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করেন, যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর তাদের গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতনসহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সাক্ষর আদায় করা হয়।

এ মামলার বাদী ও ভিকটিমের নিকট ঘটনা প্রমাণের যথেষ্ট সাক্ষ্য ও প্রমাণ রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তা প্রদর্শন ও প্রমাণ করা হবে। ন্যাশনাল ব্যাংক একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যার বিরুদ্ধে মামলার বাদী কিংবা ভিকটিমদের কোনো অভিযোগ নেই। এরপরও ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যাংকিং নিয়ম কানুন এবং সুনাম ক্ষুণ্ন করে ব্যাংকটিকে কলুষিত করছে।