সুলতানের বয়স ৩০ মাস। ওজন ২৭ মণ। লম্বায় ৯ ফুট। উচ্চতায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বিশাল দেহের সুলতানকে সচরাচর ঘর থেকে বের করা হয় না।
সুলতান ঘর থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাইরে এলে ওজনে মাটিতে পা দেবে যায়। কানাডীয় বংশোদ্ভূত সুলতানের জন্ম শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়। চলাফেরা ও খাবারদাবারে নবাবি ভাব থাকায় ভালোবেসে গরুটির (ষাঁড়) মালিক তার নাম রেখেছেন সুলতান।
এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় সুলতানকে হাটে তোলা হবে। বিশাল শরীরের অধিকারী হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই আশপাশের লোকজন সুলতানকে দেখতে ভিড় করছেন।
আজ রোববার দুপুরে রহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, সাত-আটজন দর্শনার্থী গরুটিকে দেখছেন। গরুর মালিক রহুল আমিন গরুটির নিত্যদিনের খাবার ও গোসলের বর্ণনা দিচ্ছিলেন। লোকজনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ থেকে ১২ জন মিলে সুলতানকে বাড়ির বাইরে বের করে আনেন। সুলতান কিছুতেই বাইরে থাকতে চাইছিল না। শুধু ছটফট করে চলছিল। একপর্যায়ে রহুল গরুর শরীরে হাত দিলে তার ছটফটানি থেমে যায়।
রহুল আমিন জানান, আড়াই বছর আগে তিনি নিজের গোয়ালের একটি গাভিকে কানাডা থেকে আমদানি করা উন্নতমানের সিমেনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করান। এভাবে একটি ষাঁড় বাছুরের জন্ম হয়। প্রতিদিন খড়, ভুসি ও উন্নতমানের খাদ্য খাওয়ানো হয়। আস্তে আস্তে ষাঁড় বাছুরটি বড়সড় হয়ে ওঠে। বর্তমানে গরুটির ওজন ২৭ মণ।
প্রতিদিন সুলতানকে দেখতে লোকজন আসছেন। রহুল জানান, গত ২৬ মাসে সুলতানের খাবার বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি। আনুষঙ্গিক আরও দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সুলতানের দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকাচ্ছেন বলে জানালেন রহুল।
রানীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সারুয়ার জাহান বলেন, ‘রহুল আমিন নিজ হাতে গরুটিকে লালন–পালন করছেন। এখন গরুটির ওজন ২৭ মণ। আমাদের গ্রামে আগে কেউ এত বড় ষাঁড় লালন-পালন করেননি।’