গত কয়েক মাসে জার্মান ক্লাব লাইপজিগ থেকে স্ট্রাইকার টিমো ভেরনার ও আয়াক্সের উইঙ্গার হাকিম জিয়েখকে কিনে আক্রমণভাগের শক্তি বাড়িয়েছে চেলসি। দুজনকে কিনেই তাদের কেনাকাটা শেষ হয়েছে, বলা যাচ্ছে না
দলবদল নিষেধাজ্ঞা ও পরবর্তীতে খেলোয়াড় কেনায় অনীহা – সব মিলিয়ে মোট তিন দলবদলের বাজারে খেলোয়াড় কেনেনি চেলসি। করোনাকালে যেখানে অন্যান্য ক্লাবগুলো খেলোয়াড় কেনার আগে দশবার ভাবছে, সেখানে চেলসি উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আগের তিন দলবদলে খেলোয়াড় না কেনা ও দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় বিক্রির অর্থ হাতে আসায় অন্যরা যেখানে চুপচাপ, চেলসি সেখানে খেলোয়াড় কিনে যাচ্ছে একের পর এক।
রিয়াল থেকে শুরু করে বায়ার্ন মিউনিখ, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-অনেক দলই ছিল হাভের্তজকে পাওয়ার দৌড়ে। কিন্তু শেষমেশ ব্যাপারটা ঠেকেছে ওই টাকাপয়সাতেই। বায়ার্ন মিউনিখ এর মধ্যেই ম্যানচেস্টার সিটি থেকে জার্মান উইঙ্গার লিরয় সানেকে নিয়ে এসেছে। লিভারপুল যেহেতু ভেরনারকেই কিনতে পারেনি, সেখানে হাভের্তজকে পেতে চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ইউনাইটেডের মূল লক্ষ্য বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে জাডন সানচোকে নিয়ে আসা। এদিকে লিগ জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন করোনা-সৃষ্ট অর্থসংকটের কারণে বাড়তি টাকা খরচ করবেন না তাঁরা। একই কথা প্রযোজ্য বার্সেলোনার ক্ষেত্রেও। ফলে মাঠে থাকে শুধু চেলসিই।
এদিকে হাভের্তজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মৌসুমে লেভারকুসেনে থাকার ইচ্ছে নেই তাঁর। চেলসি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের অধীনে ‘যুব-বিপ্লব’-এ যোগ দিতে মন সায় দিচ্ছে তাঁরও। বেতনাদির ব্যাপারেও চেলসি যা দেবে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকবেন হাভের্তজ, আপাতত এটাই খবর। কিন্তু লেভারকুসেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আট কোটি ইউরোর এক পয়সাও কমে রাজি হবে না তাঁরা। ফলে চেলসিকে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে, জিয়েখ আর ভেরনারকে কেনার পরেও হাভের্তজের জন্য আট কোটি ইউরো দেওয়াটা উচিত হবে কি না। বল এখন তাদের কোর্টেই।
আবার পেদ্রো, উইলিয়ান, মিচি বাতশুয়াই, তিমুইয়ে বাকায়োকোর মতো বেশ কিছু খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিচ্ছে চেলসি। হাভের্তজ এসে যে বসে থাকবেন, তা কিন্তু নয়।
ট্যামি আব্রাহাম, ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, ক্যালাম হাডসন-ওডোয়, মেসন মাউন্ট, রুবেন লফটাস চিকরা তো আগে থেকে ছিলেনই। এখন যুক্ত হচ্ছেন জিয়েখ, ভেরনার, হাভের্তজও। আগামী মৌসুমে চেলসির ম্যাচগুলোতে নিয়মিত গোলবন্যা হলে আশ্চর্য হবেন না যেন!