ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

দুই মাস পর সবজি রপ্তানি শুরু

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
  • ৭৮৫ পঠিত

প্রবাসীদের নিয়ে আসা বিশেষ যাত্রাবাহী বা চার্টার্ড উড়োজাহাজের ফিরতি ফ্লাইটের মাধ্যমে কুয়েতে সবজি রপ্তানি শুরু হয়েছে। তাতে দুই মাস পর বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশি সবজি রপ্তানি হলো। তবে যাত্রাবাহী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ৪০টির বেশি দেশে এখনো সবজি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আকাশপথের যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সবজি রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। রপ্তানিকারকেরা চেষ্টা তদবির করায় গত ১৮ মে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় চার্টার্ড বিমানে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্য কার্গো হিসেবে পরিবহনের অনুমতি দেয়।

রপ্তানিকারকেরা জানান, বাংলাদেশের সবজির বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, সৌদিআরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের যুক্তরাজ্য, ইতালি ও ফ্রান্স। এ ছাড়া বাহারাইন, ওমান, মালয়েশিয়া, সুইডেন, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশেও কিছু সবজি রপ্তানি হয়। সবজির পাশাপাশি আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূলও রপ্তানি হয়ে থাকে। মে থেকে আগস্ট এ সময়ে রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হয়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলারের সবজি রপ্তানি হয়েছে। চলতি ২০১৯–২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের সবজি, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেশি। মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবে ৫ কোটি ৮৯ লাখ, যুক্তরাজ্যে ৩ কোটি ১৫ লাখ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ কোটি ১৭ লাখ, কুয়েতে ৬৩ লাখ, কাতারে ৬২ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানি হয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, লকডাউন চললেও নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির চাহিদা খুব একটা কমেনি। যেমন, কাতারে প্রতিদিন ৩০ টন সবজি পাঠানোর মতো ক্রয়াদেশ পাওয়া যাবে। আমরা পাঠাতে পারছি না। তাই বিদেশি ক্রেতারা বিকল্প উৎস থেকে পণ্য নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিমান সংস্থার পণ্যবোঝাই বা কার্গো উড়োজাহাজ আসা-যাওয়া করছে। তবে সেসবের ভাড়া যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের চেয়ে তিনগুণ বেশি। তাই সবজি রপ্তানিকারকেরা পণ্য পাঠাতে পারছেন না। প্রথম থেকেই চার্টার্ড বিমানে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিলে কিছু সবজি রপ্তানি করা সম্ভব হতো।

ভারত সবজির বাজার দখল করছে বলে দাবি করেন সমিতির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও ভারত কার্গো উড়োজাহাজ চালাচ্ছে। সে কারণে দেশটির রপ্তানিকারকেরা কম খরচে সবজি রপ্তানি করতে পারছে। অন্যদিকে আমাদের দেশে সে রকম কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। ফলে আমরা ক্রেতা হারাচ্ছি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভাড়া করা উড়োজাহাজ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। ভবিষ্যতেও আসবে। তবে সেসব উড়োজাহাজে করে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই সবজি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে

জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

দুই মাস পর সবজি রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত : ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০

প্রবাসীদের নিয়ে আসা বিশেষ যাত্রাবাহী বা চার্টার্ড উড়োজাহাজের ফিরতি ফ্লাইটের মাধ্যমে কুয়েতে সবজি রপ্তানি শুরু হয়েছে। তাতে দুই মাস পর বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশি সবজি রপ্তানি হলো। তবে যাত্রাবাহী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ৪০টির বেশি দেশে এখনো সবজি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আকাশপথের যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সবজি রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। রপ্তানিকারকেরা চেষ্টা তদবির করায় গত ১৮ মে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় চার্টার্ড বিমানে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্য কার্গো হিসেবে পরিবহনের অনুমতি দেয়।

রপ্তানিকারকেরা জানান, বাংলাদেশের সবজির বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, সৌদিআরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের যুক্তরাজ্য, ইতালি ও ফ্রান্স। এ ছাড়া বাহারাইন, ওমান, মালয়েশিয়া, সুইডেন, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশেও কিছু সবজি রপ্তানি হয়। সবজির পাশাপাশি আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূলও রপ্তানি হয়ে থাকে। মে থেকে আগস্ট এ সময়ে রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হয়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলারের সবজি রপ্তানি হয়েছে। চলতি ২০১৯–২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের সবজি, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেশি। মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবে ৫ কোটি ৮৯ লাখ, যুক্তরাজ্যে ৩ কোটি ১৫ লাখ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ কোটি ১৭ লাখ, কুয়েতে ৬৩ লাখ, কাতারে ৬২ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানি হয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, লকডাউন চললেও নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির চাহিদা খুব একটা কমেনি। যেমন, কাতারে প্রতিদিন ৩০ টন সবজি পাঠানোর মতো ক্রয়াদেশ পাওয়া যাবে। আমরা পাঠাতে পারছি না। তাই বিদেশি ক্রেতারা বিকল্প উৎস থেকে পণ্য নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিমান সংস্থার পণ্যবোঝাই বা কার্গো উড়োজাহাজ আসা-যাওয়া করছে। তবে সেসবের ভাড়া যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের চেয়ে তিনগুণ বেশি। তাই সবজি রপ্তানিকারকেরা পণ্য পাঠাতে পারছেন না। প্রথম থেকেই চার্টার্ড বিমানে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিলে কিছু সবজি রপ্তানি করা সম্ভব হতো।

ভারত সবজির বাজার দখল করছে বলে দাবি করেন সমিতির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও ভারত কার্গো উড়োজাহাজ চালাচ্ছে। সে কারণে দেশটির রপ্তানিকারকেরা কম খরচে সবজি রপ্তানি করতে পারছে। অন্যদিকে আমাদের দেশে সে রকম কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। ফলে আমরা ক্রেতা হারাচ্ছি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভাড়া করা উড়োজাহাজ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। ভবিষ্যতেও আসবে। তবে সেসব উড়োজাহাজে করে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই সবজি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে