ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

নিজ গ্রামে অভাবি মানুষের পাশে ইমন

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
  • ৭৩২ পঠিত

চিত্রনায়ক ইমন থাকেন ঢাকায়। তাঁর নাড়ি পোঁতা সবুজ-শ্যামল গ্রামে। নরসিংদী জেলার পলাশ থানার সুলতানপুরের গ্রামবাসীর কাছে ইমন বড় তারকা। গ্রামের মানুষ গল্প করে এই বলে যে তাদের গ্রামের ছেলে রুপালি পর্দায় কাজ করেন। শোবিজের ব্যস্ততার কারণে গ্রামে যাওয়া হয় খুব কম। করোনার মধ্যেও যখন একে একে সব খুলে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ করেই গতকাল সোমবার নিজের গ্রামে হাজির হন ইমন।

গ্রামের মানুষ এমনিতেই তাঁকে পছন্দ করে। সেদিন তিনি পছন্দের মানুষ বলে নয়, মানবিক তাগিদ থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়েছেন কয়েকজন নারী-পুরষের হাতে। গ্রামে তাঁর কাছের ভাই-বন্ধুরা আগেই তৈরি করে রেখেছিলেন অভাবি মানুষের তালিকা। সেই তালিকা ধরে সংকটে থাকা মানুষের হাতে ইমন তুলে দেন তেল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ ইত্যাদি।

প্রথম আলোকে ইমন জানান, মানবিক কাজে তিনি পাশে পেয়েছেন তাঁর একাধিক আপনজনকে। তাঁর সৎ কাজের কথা জানতে পেরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ‘একেবারে অন্য রকম অনুভূতি হয়েছে। গ্রামবাসীর হাতে সামান্য কিছু তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। পরিকল্পনা আছে তাদের জন্য আরও বেশি কিছু করার। করোনায় কেউ ভালো নেই। আমাদের জায়গা থেকে কিছু করার থাকলে কেন আমরা করব না,’ ভাষ্য ইমনের।

ইমন জানান, করোনায় দেশবাসীর মতো তিনিও ভালো নেই। ‘আকবর’ ও ‘ব্লাড’, এ দুটি ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। করোনার কারণে দুটি ছবির কাজ বন্ধ হয়ে আছে। করোনা যে এমনভাবে জেঁকে বসবে, মাসের পর মাস স্থবির করে দেবে জীবনযাত্রা, অন্য অনেকের মতো তিনিও ভাবতে পারেননি। শুরুতে এটাকে মেনে নিলেও ধীরে ধীরে মন অশান্ত হয়ে উঠতে শুরু করে তাঁর। শেষ পর্যন্ত অভিনয়ের ক্ষুধার কাছে হার মেনে ঈদে একটি নাটকের কাজে নেমে পড়েন তিনি।
চিত্রনায়ক ইমন। ছবি: সংগৃহীত

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নাট্যনির্মাতা সাজ্জাদ সুমন তাঁকে একটি গল্প শোনান। গল্প শুনে ভালো লেগে গেলে কাজ করতে রাজি হন ইমন। ‘“পাসওয়ার্ড” সিনেমাতে অভিনয়ের পর থেকে আমি “অভিনেতা” সত্তাটাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। নায়কই হতে হবে, এমনটা আর ভাবছি না। চরিত্র পছন্দ হলে তবে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। “বাবার বুকের ঘ্রাণ” নাটকটিও সে কারণেই করেছি। নাটকের চরিত্র ও গল্প আমাকে স্পর্শ করেছে।’

নাটকের গল্পে ইমন একজন বিমাকর্মী। তাঁর চরিত্রের নাম কবির। পরিস্থিতির কারণে এই পেশায় নেমে তার জীবনে নতুন নতুন যে অভিজ্ঞতা হয়, তা নিয়ে নাটকের গল্প। নাটকে তিনি পাশে পেয়েছেন শক্তিমান অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদকে। তাঁর সঙ্গেও কাজের অভিজ্ঞতা অনেক দিন মনে থাকবে ইমনের। ঈদের জন্য নির্মিত নাটকটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।

সম্প্রতি ইমন চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমায়। বর্তমানে ছবির গল্প লেখার কাজ চলছে। নানা কারণে শুটিং শুরু হওয়ার আগেই আলোচনায় চলে এসেছে ছবিটি।

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

নিজ গ্রামে অভাবি মানুষের পাশে ইমন

প্রকাশিত : ০৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

চিত্রনায়ক ইমন থাকেন ঢাকায়। তাঁর নাড়ি পোঁতা সবুজ-শ্যামল গ্রামে। নরসিংদী জেলার পলাশ থানার সুলতানপুরের গ্রামবাসীর কাছে ইমন বড় তারকা। গ্রামের মানুষ গল্প করে এই বলে যে তাদের গ্রামের ছেলে রুপালি পর্দায় কাজ করেন। শোবিজের ব্যস্ততার কারণে গ্রামে যাওয়া হয় খুব কম। করোনার মধ্যেও যখন একে একে সব খুলে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ করেই গতকাল সোমবার নিজের গ্রামে হাজির হন ইমন।

গ্রামের মানুষ এমনিতেই তাঁকে পছন্দ করে। সেদিন তিনি পছন্দের মানুষ বলে নয়, মানবিক তাগিদ থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়েছেন কয়েকজন নারী-পুরষের হাতে। গ্রামে তাঁর কাছের ভাই-বন্ধুরা আগেই তৈরি করে রেখেছিলেন অভাবি মানুষের তালিকা। সেই তালিকা ধরে সংকটে থাকা মানুষের হাতে ইমন তুলে দেন তেল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ ইত্যাদি।

প্রথম আলোকে ইমন জানান, মানবিক কাজে তিনি পাশে পেয়েছেন তাঁর একাধিক আপনজনকে। তাঁর সৎ কাজের কথা জানতে পেরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ‘একেবারে অন্য রকম অনুভূতি হয়েছে। গ্রামবাসীর হাতে সামান্য কিছু তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। পরিকল্পনা আছে তাদের জন্য আরও বেশি কিছু করার। করোনায় কেউ ভালো নেই। আমাদের জায়গা থেকে কিছু করার থাকলে কেন আমরা করব না,’ ভাষ্য ইমনের।

ইমন জানান, করোনায় দেশবাসীর মতো তিনিও ভালো নেই। ‘আকবর’ ও ‘ব্লাড’, এ দুটি ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। করোনার কারণে দুটি ছবির কাজ বন্ধ হয়ে আছে। করোনা যে এমনভাবে জেঁকে বসবে, মাসের পর মাস স্থবির করে দেবে জীবনযাত্রা, অন্য অনেকের মতো তিনিও ভাবতে পারেননি। শুরুতে এটাকে মেনে নিলেও ধীরে ধীরে মন অশান্ত হয়ে উঠতে শুরু করে তাঁর। শেষ পর্যন্ত অভিনয়ের ক্ষুধার কাছে হার মেনে ঈদে একটি নাটকের কাজে নেমে পড়েন তিনি।
চিত্রনায়ক ইমন। ছবি: সংগৃহীত

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নাট্যনির্মাতা সাজ্জাদ সুমন তাঁকে একটি গল্প শোনান। গল্প শুনে ভালো লেগে গেলে কাজ করতে রাজি হন ইমন। ‘“পাসওয়ার্ড” সিনেমাতে অভিনয়ের পর থেকে আমি “অভিনেতা” সত্তাটাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। নায়কই হতে হবে, এমনটা আর ভাবছি না। চরিত্র পছন্দ হলে তবে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। “বাবার বুকের ঘ্রাণ” নাটকটিও সে কারণেই করেছি। নাটকের চরিত্র ও গল্প আমাকে স্পর্শ করেছে।’

নাটকের গল্পে ইমন একজন বিমাকর্মী। তাঁর চরিত্রের নাম কবির। পরিস্থিতির কারণে এই পেশায় নেমে তার জীবনে নতুন নতুন যে অভিজ্ঞতা হয়, তা নিয়ে নাটকের গল্প। নাটকে তিনি পাশে পেয়েছেন শক্তিমান অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদকে। তাঁর সঙ্গেও কাজের অভিজ্ঞতা অনেক দিন মনে থাকবে ইমনের। ঈদের জন্য নির্মিত নাটকটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।

সম্প্রতি ইমন চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমায়। বর্তমানে ছবির গল্প লেখার কাজ চলছে। নানা কারণে শুটিং শুরু হওয়ার আগেই আলোচনায় চলে এসেছে ছবিটি।