এড়াতে চাইলেও পারলেন না। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের টাকা তছরুপে অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে আজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র দফতরে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়।
আজ বেলা বারোটার একটু আগে ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্যালার্ড এস্টেটে ইডি-র দফতরে এসে পৌঁছন রিয়া। তাঁর বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদীকেও তলব করেছিল ইডি। তিনি আসেন আর একটু পরে। তবে কিছু ক্ষণ বাদেই ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে যান শৌভিক। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, তাঁকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
পটনায় করা সুশান্তের বাবা কে কে সিংহের এফআইআরে রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের টাকা তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু যে হেতু মুম্বই পুলিশ আলাদা করে তদন্ত চালাচ্ছে, পটনার মামলা খারিজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রিয়া। ইডি তদন্ত শুরু করে পটনায় করা মামলার ভিত্তিতেই। তাই রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে ইডি-র কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে যে হেতু বিষয়টি বিচারাধীন, আপাতত তাঁর মক্কেলকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ না-করা হয়। ইডি সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি।
শনিবার তলব করা হয়েছে সুশান্তের বন্ধু ও রুমমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে। ১৪ জুন যখন সুশান্ত আত্মঘাতী হন, তখন সেই ফ্ল্যাটেরই অন্য ঘরে তিনি ছিলেন বলে মুম্বই পুলিশকে জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। সুশান্তের বাবার করা এফআইআরে অবশ্য সিদ্ধার্থের নামে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। সিদ্ধার্থ অবশ্য এখন মুম্বইয়ে নেই। শনিবার তিনি ইডি-র দফতরে আসতে পারবেন কি না, তা-ও জানা যায়নি।
টাকা পাচার রোধ আইনের আওতায় রিয়া ও শ্রুতির বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। রিয়ার উপার্জন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেন, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাঁর জমানো টাকা, এই সব নিয়ে তাঁকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করেন ইডি-র অফিসারেরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রয়াত অভিনেতার চার্টার্ড অ্যাকউন্ট্যান্ট সন্দীপ শ্রীধর এবং তাঁর হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্দার জবানবন্দি নথিভুক্ত করেছেন।