ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

যমজ শিশুর জন্মের রহস্য

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০
  • ৭৮০ পঠিত

যমজ শিশুর জন্ম কেন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে মানুষের আগ্রহ সেই আদিকাল থেকে। অনেকেই জানতে চান এর রহস্য। তবে যমজ সন্তান নিয়ে রহস্য বা গবেষণার কিছু নেই।

এ বিষয়ে যুগান্তরকে অজানা অনেক তথ্য জানিয়েছেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট বেদৌরা শারমিন।

তিনি বলেন, গর্ভে একের অধিক সন্তান ধারণ করা স্বাভাবিক একটি বিষয়।

বংশগত কারণে এটি হতে পারে। যেমন মা বা নানি, যদি পূর্বে যমজ সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। এটি প্রকৃতিপ্রদত্ত বা গডগিফটেড বলা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর কারণে এমনটি হতে পারে। চিকিৎসার মাধ্যমে যখন গর্ভধারণ করেন, তখনও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ডা. বেদৌরা বলেন, অনেক দম্পতি রয়েছেন, যাদের সন্তান হয় না। তারা টেস্ট টিউবের মাধ্যম বেবি নিয়ে থাকেন। এ সময় একাধিক শুক্রাণু মায়ের গর্ভে প্রবেশ করানোর ফলে যমজ শিশুর জন্ম হয় থাকে।

কেন হয় যমজ সন্তান?

মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনো একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এ সময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তী সময় প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়। এখানে দুটি কোষ যেহেতু পূর্বে একটি কোষ ছিল, তাই এদের সব জিন একই হয়ে থাকে। এ কারণে এরা দেখতে অভিন্ন হয় এবং একই লিঙ্গের হয়। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সবসময় একই লিঙ্গের নাও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্নও হতে পারে।

সন্তান যমজ কিনা তা বুঝবেন যেভাবে

বেশি শরীর খারাপ ও গর্ভাবস্থায় পেটের আয়তন স্বাভাবিক তুলনায় বেড়ে যাওয়া। গর্ভের সন্তান যমজ কিনা জানতে দুই মাস পর আলট্রাসাউন্ড করে জেনে নিতে পারেন।

জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

যমজ শিশুর জন্মের রহস্য

প্রকাশিত : ০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০

যমজ শিশুর জন্ম কেন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে মানুষের আগ্রহ সেই আদিকাল থেকে। অনেকেই জানতে চান এর রহস্য। তবে যমজ সন্তান নিয়ে রহস্য বা গবেষণার কিছু নেই।

এ বিষয়ে যুগান্তরকে অজানা অনেক তথ্য জানিয়েছেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট বেদৌরা শারমিন।

তিনি বলেন, গর্ভে একের অধিক সন্তান ধারণ করা স্বাভাবিক একটি বিষয়।

বংশগত কারণে এটি হতে পারে। যেমন মা বা নানি, যদি পূর্বে যমজ সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। এটি প্রকৃতিপ্রদত্ত বা গডগিফটেড বলা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর কারণে এমনটি হতে পারে। চিকিৎসার মাধ্যমে যখন গর্ভধারণ করেন, তখনও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ডা. বেদৌরা বলেন, অনেক দম্পতি রয়েছেন, যাদের সন্তান হয় না। তারা টেস্ট টিউবের মাধ্যম বেবি নিয়ে থাকেন। এ সময় একাধিক শুক্রাণু মায়ের গর্ভে প্রবেশ করানোর ফলে যমজ শিশুর জন্ম হয় থাকে।

কেন হয় যমজ সন্তান?

মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনো একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এ সময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তী সময় প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়। এখানে দুটি কোষ যেহেতু পূর্বে একটি কোষ ছিল, তাই এদের সব জিন একই হয়ে থাকে। এ কারণে এরা দেখতে অভিন্ন হয় এবং একই লিঙ্গের হয়। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সবসময় একই লিঙ্গের নাও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্নও হতে পারে।

সন্তান যমজ কিনা তা বুঝবেন যেভাবে

বেশি শরীর খারাপ ও গর্ভাবস্থায় পেটের আয়তন স্বাভাবিক তুলনায় বেড়ে যাওয়া। গর্ভের সন্তান যমজ কিনা জানতে দুই মাস পর আলট্রাসাউন্ড করে জেনে নিতে পারেন।