সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকি ভাতার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো জোটের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
বিবৃতি দাতারা হলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়্যারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী।
নেতারা বলেন, দেশের যে কোনো সঙ্কটকালীন সময়ের মতো করোনার এই কঠিন সময়েও সাংবাদিকরা তাদের অসাধারণ ভূমিকা এবং দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো করণীয় না থাকার পরও জনগণকে এ সম্পর্কে বাস্তব পরিস্থিতি অবহিত করে অতি গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালনকালে তারা তাদের নিজেদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করেছেন। এর মধ্যেই ৬ জন সংবাদকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৪৪ জন সংবাদকর্মী।
তারা বলেন, সাংবাদিকরা যেহেতু করোনার এই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, এ কারণে তাদের জন্য যথাযত সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনার এই সময়ে বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে অনেক মিডিয়া হাউজ তার কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করছে। অবিলম্বে সব ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। ছাঁটাইকৃতদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, যেহেতু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করছেন, তাদের জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় পর্যাপ্ত ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে; সত্য প্রকাশের কারণে সাংবাদিক গ্রেফতারও হয়েছেন। গ্রেফতারকৃত সব সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান নেতারা। তারা বলেন, ভবিষ্যতে তাদের ওপর যে কোনো রকম হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যে কোনো সঙ্কটের সময়ে মুক্ত মতপ্রকাশ বাধাগ্রস্ত করলে সেটা সেই সঙ্কটকে আরও ঘনীভূত করে এবং মানুষের জীবনের বিপর্যয় ঘটায়।