সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে প্রতিনিয়ত উঠে আসছে চমকে দেওয়া নানা তথ্য। রিয়ার ফোন কল থেকে ইডি সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ৮ জুন থেকে ১৩ জুন রিয়া পরিচালক মহেশ ভট্টকে ১৬ বার ফোন করেন। যার মধ্যে ন’টা কল ছিল আউটগোয়িং। বাকি ইনকমিং। ৮ জুন সুশান্তকে ছেড়ে সুশান্তের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান রিয়া। ব্লক করেন সুশান্তের ফোন। অথচ দেখা যাচ্ছে মহেশ ভট্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আরম্ভ করেন তিনি।তার আগে রিয়া ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ মহেশকে ফোন করেন। ইডি-র ডিজিটাল তথ্য থেকে এ ও জানা যায় যে ওই সময় শুধু ফোন নয়, অনেক টেক্সট মেসেজ করেছিলেন রিয়া আর মহেশ যা কিনা তাঁরা মুছে দেন। কেন মুছে দিতে হল টেক্সট মেসেজ?কেন মহেশের সঙ্গে রিয়াকে এতবার কথা বলতে হল?
উত্তর মিলছে না…
ইডির তরফ থেকে প্রশ্ন উঠেছে মহেশকে মুম্বই পুলিশ যখন ডেকে জেরা করে তখন কি মহেশ এই তথ্য মুম্বই পুলিশকে জানান? তিনি কেন মুখ খুলছেন না?সুশান্তের মৃত্যুর পর দু’মাস হয়ে গেল তাও তিনি চুপ। কেন?
সুশান্ত ১৪ জুন চলে যাওয়ার পরে ১৯ জুন রিয়া মহেশের জন্মদিনে উইশ করে টুইট করেন। লেখেন ‘আই লাভ ইউ’।সুশান্ত চলে যাওয়ার ঠিক ৫ দিনের মাথায় এই টুইট করেও কিন্তু রিয়া সেই টুইট মুছে দেন। কেন রিয়াকে টুইট মুছতে হল?
রিয়া কী তখন থেকেই চাইছিলেন না মহেশ আর তাঁকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা হোক? তাই গতকাল সুপ্রিম কোর্টে মিডিয়া ট্রায়ালের বন্ধের তিনি আবেদন জানান?
সুশান্তের মানসিক অবসাদের কথা জেনেও তাঁকে ছেড়ে কেন বাড়ি থেকে চলে এলেন তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ?৮ জুন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা আত্মহত্যা করেন। দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও মিল আছে কিনা, তা এখনও তদন্তে জানা যায়নি। শেষ সময়ে সুশান্তের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিলেন রিয়া। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না কেন? প্রশ্ন সেখানেই।
রিয়া যদিও অভিযোগ করেন, সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে কোনও চক্রান্তের তথ্য এখনও সামনে না এলেও সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেছে। সুশান্তের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের বিষয় নিয়ে কাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। তার আগে শীর্ষ আদালতের সামনে রিয়ার আর্জি, তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার ব্যাপারে শীর্ষ আদালত যদি সম্মত হয়, তা হলেও পটনা নয়, তদন্তকে মুম্বইয়ের আদালতের এক্তিয়ারে রাখা হোক।