নিত্যব্যবহার্য ও খাদ্য পণ্য বিপণনকারী সুপরিচিত বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ইউনিলিভার তাদের একটি পণ্যের নাম পরিবর্তন করছে। ত্বকের যত্ন শ্রেণির পণ্য ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ থেকে তারা ‘ফেয়ার’ শব্দটি বাদ দিচ্ছে। আর এ কারণে নতুন নাম দিতে হচ্ছে। এর নতুন নাম অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে নামটি পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে ইউনিলিভার।
বিশ্বজুড়ে চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ইউনিলিভার এই সিদ্ধান্ত নিল।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সার্বজনীন সৌন্দর্যের লক্ষ্যে ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিতে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ নামটি থেকে ‘ফেয়ার’ শব্দটি ব্যবহার বন্ধ করবে কোম্পানি। ব্র্যান্ডটির নতুন নাম অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নামটি পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত দশকে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র বিজ্ঞাপন প্রচারণায় বিবর্তনের মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের বার্তাটি তুলে ধরা হয়েছে। ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এমন একটি সামগ্রিক পন্থা অবলম্বন করা, যেটি অবশ্যই সার্বজনীন ও বৈচিত্র্যময় এবং সবখানে সবার কথা মাথায় রাখে। সব ধরনের গায়ের রঙ নিয়ে কথা বলতে ব্র্যান্ডটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউনিলিভার আরও জানায়, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে ব্র্যান্ডের যাবতীয় যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ত্বক ফর্সা করার উপকারিতা’ এবং ‘ফর্সাকারী’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে ‘দ্যুতি বা গ্লো’, ‘উজ্জ্বল আভা’, ‘ত্বকের নির্মলতা’ এবং ‘উজ্জ্বলতা’। পরিমার্জিত এই শব্দগুলো সুস্থ ত্বকের সামগ্রিক পরিচায়ক। এ ছাড়া রঙের পরিবর্তন নির্দেশক দুটি মুখ এবং রঙ পরিবর্তন বোঝার শেড গাইড ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র প্রায় সব প্যাকেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের নানান বর্ণের নারীদের উপস্থিতি এবং বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে কোম্পানিটি।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেদার লেলে বলেন, ’আমরা আমাদের স্কিনকেয়ার পোর্টফোলিও আরও সার্বজনীন করে তুলছি এবং আমরা বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য উদযাপনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
ইউনিলিভার বাংলাদেশে ৫৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের প্রতি ১০টি পরিবারের ৯টিতেই ইউনিলিভারের পণ্য কেনা হয় বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।