কাছাকাছি সময়ে ‘বাবা ছেলের টান’ ও ‘আমার বাবা’ শিরোনামে দুটি গান প্রকাশিত হয়েছে। দুটি গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তরুণ প্রজন্মের গায়ক ও সংগীত পরিচালক কিশোরের নাম। এর বাইরে গত তিন মাসের লকডাউনে ১৫টি গান তৈরি করেছেন কিশোর। এসব নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে
আপনার ফেসবুকের ওয়ালে দেখে বোঝা যায়, এই লকডাউনে গানে খুব সক্রিয়?
বরাবরই এমন ছিলাম। এখন যেহেতু আমি, আমরা সবাই বাসায়, তাই চোখে পড়ছে সবার। বিষয়টি হচ্ছে, করোনার কারণে হাতে অনেক সময়। সাধারণত আমাদের কারও জীবনেই এমন সময় পাইনি আগে কখনো। তাই আমি বলি, করোনা যেমন অভিশাপ হয়েছে, তেমনি আশীর্বাদও হয়েছে। নিজেকে গোছানোর সময় পেয়েছি।
আপনার ক্ষেত্রে করোনা কী?
আমার তো অভিশাপ ও আশীর্বাদ—দুটিই মনে হয়েছে।
অভিশাপ কেন, আশীর্বাদ কেন?
কারণ, এ বছর প্রচুর স্টেজ শো হওয়ার কথা ছিল। সেখানে দুটিও করতে পারিনি। তাই স্বাভাবিকভাবে শিল্পী হিসেবে এটা অভিশাপ। আমরা যাঁরা শিল্পী, তাঁদের কিন্তু এখনকার আয়ের প্রধান উৎস স্টেজ শো। যতই চলচ্চিত্র কিংবা অডিওর গান রেকর্ডিং করি না কেন। শুধু আয়ের ক্ষেত্রে নয়, স্টেজ শোর ব্যস্ততা শিল্পীকে মানসিক প্রশান্তিও দেয়। আশীর্বাদ হচ্ছে, এই সময়টায় মিউজিক্যালি উন্নতি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমি মিউজিক্যালি অতটা সমৃদ্ধ ছিলাম না। অনেক সময় পাওয়াতে বিভিন্ন গুরুজনের কাছ থেকে সংগীতকে অন্যভাবে জানার সুযোগ পেয়েছি।
আপনি তো নতুন সংসার করছেন। সংগীতচর্চায় স্ত্রী কতটা অনুপ্রেরণা দেন…
বিয়ে করেছি তো বেশি দিন হয়নি। তবে এটা ঠিক, স্ত্রী আমাকে গানে অনুপ্রেরণা দেয়। যেহেতু বাসায় স্টুডিও, তাই একটি গান তৈরি হলেই, প্রথমেই শোনে। ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেয়। ভালো লাগলে বলে, না লাগলেও বলে দেয়।
পরপর দুদিন দুটি গান মুক্তি পেয়েছে
‘আমার বাবা’ গানটি কোনাল, মাহাদী ও কর্ণিয়া মিলে গেয়েছে। প্রথম দুজন আমার ভালো বন্ধু, পরেরজন ছোট বোন। ‘বাবা ছেলের টান’ গানে আমার সুরে গেয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী স্যার ও আসিফ আকবর ভাই। আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে এর আগেও আমার কয়েকটি গান করা হয়েছে, তাই তাঁকে বুঝতে পারি। কিন্তু হাদী স্যারের সঙ্গে এটাই ছিল প্রথম। আমি সত্যি খুব ভাগ্যবান, প্রথমবার গানটি শুনে তিনি বলেছিলেন, বাবা, সুন্দর গান করেছ।