রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডেইলি নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খবরে বলা হয়, ফাহিমের খোঁজ না পেয়ে তার বোন হেল্পলাইন ৯১১-এ ফোন করলে পুলিশ ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে ফাহিমের খণ্ডিত লাশ পায়। লাশের পাশে একটি বৈদ্যুতিক করাতও পাওয়া গেছে।
নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট কার্লোস নিভেস বলেছেন, লাশের মাথা, দুই হাত, দুই পা- সব শরীর থেকে আলাদা করা ছিল। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের কোনো মোটিভ আমাদের কাছে নেই।
নিউইয়র্ক পুলিশ জানায়, যে অ্যাপার্টমেন্টে মরদেহ পাওয়া গেছে তা গত বছর সাড়ে ২২ লাখ ডলারে কিনেছিলেন ফাহিম।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লিফটের নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। সেখানে গত সোমবার ফাহিমকে লিফটে উঠতে দেখা গেছে। তিনি লিফটে ওঠার পরপরই তাকে অনুসরণ করে স্যুট পরিহিত আরেকজনকেও উঠতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক ও মাথায় হ্যাট ছিল।
ফুটেজে আরও দেখা গেছে, নিজের ফ্লোরে উঠে লিফট থেকে নামার পরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফাহিম।
পুলিশের ধারণা, সম্ভবত তাকে গুলি বা অন্য কোনোভাবে আঘাত করা হয়েছিল। হামলাকারীর হাতে একটি স্যুটকেস ছিল। সে ছিল অত্যন্ত পেশাদার।
পুলিশ ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের পর পরীক্ষার জন্য আঙ্গুলের ছাপ ও ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তার বাবা সালেহ উদ্দিন চট্টগ্রামের, আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে। তিনি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা।
২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় গিয়ে পাঠাও চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন তিনি। ফাহিম নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়ায় এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক। ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশেও তিনি ব্যবসা বিস্তৃত করেছিলেন।