ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছিন্নমূলদের খাবার জোগাচ্ছে ‘ফুড ফর গুড’

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০
  • ৭৫০ পঠিত

ওরা রাস্তায় থাকে। সেখানেই ঘুমায়। কিন্তু না খেয়ে কি ঘুমানো যায়? এ ভাবনা নাড়া দেয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদী হাসানকে । এরপরের ভাবনা অন্তত রাতের খাবারটা তো ওদের মুখে তুলে দেওয়া যায়।এরপর এগিয়ে আসা।তাঁর উদ্যোগে এখন করোনাকালে ছিন্নমূলদের খাবার যোগাচ্ছে ‘ফুড ফর গুড’।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ ইউনিভারসিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজিতে (বিউবিটি) বন্ধুরা মিলে গড়ে তোলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইউনিভার্সাল এমিটি’। বিভিন্ন দুর্যোগে মানবিক সাহায্য দিতে কাজ করছেন তাঁরা। ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্গতদের মধ্যেও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়েছেন তাঁরা।

৭ জুন থেকে মিরপুর এলাকায় ছিন্নমূলদের মধ্যে খাবার বিতরণ শুরু করেছে ফুড ফর গুড।নিজেরা ঘরোয়া পরিবেশে রান্না করেন।জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেরাই খাবার তুলে দিচ্ছেন অনাহারী মানুষদের হাতে। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ জন মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান সংগঠনটির সদস্যরা।

মেহেদী হাসান ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিজেদের চাকরির বেতনের একটি অংশ দিয়ে চলছে এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম।ধীরে ধীরে এটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে তাঁদের।রাজধানীর সব এলাকার ছিন্নমূল, ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে রাতের খাবার তুলে দেবার ইচ্ছা আছে তাঁদের।প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও খুলনা শহরের ছিন্নমূলদের খাবার জোগানোই তাদের লক্ষ্য।

এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসহায়, বসতবাড়িহীন ও অনাহারী মানুষদের অসহায়ত্ব আকাশছোঁয়া।তাই ছিন্নমূল ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে একবেলা খাবার তুলে দিতে চাই আমরা।আর এটি প্রতিদিন চলমান রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউনিভার্সাল এমিটি।’

সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, মহামারি বা বন্যা সব ধরনের পরিস্থিতিতে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার পাইকগাছা ও দাকোপ এলাকায় প্রায় ১৫০টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংগঠনটি।এ ছাড়া প্রতিবছর নিয়মিতভাবে কিছু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।এর মধ্যে আছে দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, পথশিশুদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, এতিমখানায় খাদ্য বিতরণ, সাহরি ও ইফতার বিতরণ, ঈদের খাদ্য ও নতুন কাপড় বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, অস্বচ্ছল পরিবারে চিকিৎসাসেবা, বিয়েতে আর্থিক অনুদান এবং রক্তদান কার্যক্রম।

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

ছিন্নমূলদের খাবার জোগাচ্ছে ‘ফুড ফর গুড’

প্রকাশিত : ০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০

ওরা রাস্তায় থাকে। সেখানেই ঘুমায়। কিন্তু না খেয়ে কি ঘুমানো যায়? এ ভাবনা নাড়া দেয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদী হাসানকে । এরপরের ভাবনা অন্তত রাতের খাবারটা তো ওদের মুখে তুলে দেওয়া যায়।এরপর এগিয়ে আসা।তাঁর উদ্যোগে এখন করোনাকালে ছিন্নমূলদের খাবার যোগাচ্ছে ‘ফুড ফর গুড’।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ ইউনিভারসিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজিতে (বিউবিটি) বন্ধুরা মিলে গড়ে তোলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইউনিভার্সাল এমিটি’। বিভিন্ন দুর্যোগে মানবিক সাহায্য দিতে কাজ করছেন তাঁরা। ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্গতদের মধ্যেও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়েছেন তাঁরা।

৭ জুন থেকে মিরপুর এলাকায় ছিন্নমূলদের মধ্যে খাবার বিতরণ শুরু করেছে ফুড ফর গুড।নিজেরা ঘরোয়া পরিবেশে রান্না করেন।জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেরাই খাবার তুলে দিচ্ছেন অনাহারী মানুষদের হাতে। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ জন মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান সংগঠনটির সদস্যরা।

মেহেদী হাসান ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিজেদের চাকরির বেতনের একটি অংশ দিয়ে চলছে এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম।ধীরে ধীরে এটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে তাঁদের।রাজধানীর সব এলাকার ছিন্নমূল, ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে রাতের খাবার তুলে দেবার ইচ্ছা আছে তাঁদের।প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও খুলনা শহরের ছিন্নমূলদের খাবার জোগানোই তাদের লক্ষ্য।

এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসহায়, বসতবাড়িহীন ও অনাহারী মানুষদের অসহায়ত্ব আকাশছোঁয়া।তাই ছিন্নমূল ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে একবেলা খাবার তুলে দিতে চাই আমরা।আর এটি প্রতিদিন চলমান রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউনিভার্সাল এমিটি।’

সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, মহামারি বা বন্যা সব ধরনের পরিস্থিতিতে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার পাইকগাছা ও দাকোপ এলাকায় প্রায় ১৫০টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংগঠনটি।এ ছাড়া প্রতিবছর নিয়মিতভাবে কিছু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।এর মধ্যে আছে দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, পথশিশুদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, এতিমখানায় খাদ্য বিতরণ, সাহরি ও ইফতার বিতরণ, ঈদের খাদ্য ও নতুন কাপড় বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, অস্বচ্ছল পরিবারে চিকিৎসাসেবা, বিয়েতে আর্থিক অনুদান এবং রক্তদান কার্যক্রম।