সালমান খান এ বছর হয়ত তাঁর ভক্তদের নিরাশ করতে পারেন। প্রতিবছর তিনি সুপারহিট সব ছবি উপহার দেন হাজারো অনুরাগীদের। ঈদের সময় নিয়ম করে ভাইজানের ছবি মুক্তি পায়। করোনার কারণে এবার ঈদে সালমানপ্রেমীরা নিরাশ হয়েছেন। তবে শোনা যাচ্ছে, এ বছর এই বলিউড সুপারস্টারের কোনো ছবি নাকি মুক্তি পাবে না।
সালমান খানের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘রাধে: ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’ এ বছর ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই ছবির মাত্র কিছু অংশের শুটিং এখনো বাকি। শোনা যায়, সালমান ছবিটির অবশিষ্ট অংশের শুটিং শেষ করে এবারের দিওয়ালিতে বড় পর্দায় আনতে পারেন ছবিটি। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, করোনা সেই আশাতেও পানি ঢেলে দিয়েছে। এবারের দিওয়ালিতেও সালমানের বহু অপেক্ষিত ছবির মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ। এমনকি এ বছর ভাইজানের ছবি মুক্তি নিয়ে থাকছে ধোঁয়াশা।
সালমান খানের ‘রাধে’ ছবির অবশিষ্ট অংশের শুটিং শুরুর পরিকল্পনা ছিল আগস্টে। মুম্বাইয়ের এক স্টুডিওতে শুটিং শুরু করার প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাদ সেধেছেন স্বয়ং ভাইজান। তিনি নাকি শুটিং শুরু করার দিন আপাতত স্থগিত রেখেছেন। শোনা যাচ্ছে, সালমান শুটিংয়ের দিন পিছিয়ে দিয়েছেন। লকডাউনের শুরু থেকেই এই বলিউড সুপারস্টার পানভেলে নিজের খামারবাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন। এখনো তিনি এখানেই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। সালমান সেখানে ‘রাধে’ ছবির প্রযোজক সোহেল খান, অতুল অগ্নিহোত্রী, আর নিখিল নমিতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেখানে ভাইজান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুটিং শুরু করা ঠিক নয়। কোনো স্টুডিওতে শুটিং করলে অভিনয়শিল্পী ও কর্মচারীরা কোনোভাবে সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা সালমানের।
এদিকে মুম্বাইতে বর্ষার দাপট শুরু হয়ে গেছে। তাই বৃষ্টির কারণে খোলা আকাশের নিচে এখন শুটিং করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। তাই ‘রাধে’ ছবির শুটিং অক্টোবরের শেষ দিকে করার পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রভু দেবা পরিচালিত এই ছবির একটি গানের দৃশ্যর শুটিংও বাকি। শোনা যাচ্ছে, এই গানের দৃশ্যটির শুটিং আউটডোর লোকেশনে হবে।
সালমান এখন তাঁর ছবি মুক্তির থেকে তাঁর দলের প্রত্যেকের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে বেশি চিন্তিত। তিনি এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যর ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে মনে করা হচ্ছে, দিওয়ালিতে হয়তোবা সালমানের ‘রাধে’ মুক্তি পাবে না। এই ছবিটি মুক্তির জন্য আগামী বছর কোনো উৎসবের দিন বেছে নিতে পারেন তিনি। আর তখন দেশের পরিস্থিতি হয়তো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।