ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্বাস্থ্যে শুধু মহাপরিচালক নয়, জড়িত সবাইকে বরখাস্ত করা উচিত: ফখরুল

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
  • ১৩৬০ পঠিত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহাপরিচালককে বরখাস্ত করা উচিত ছিল এবং জড়িত সবাইকে বরখাস্ত করা উচিত। তিনি আবারও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রসঙ্গে কথা বলেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিজাইন করেছেন এবং শোনা যাচ্ছে যে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে। আসলে তাঁকে তো বরখাস্ত করা উচিত ছিল এবং শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকই নন, এর সঙ্গে যাঁরা যাঁরা জড়িত আছেন, ভুল তথ্য দিয়েছেন জনগণকে। তার দায়দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের ওপর বর্তায়। আমরা মনে করি, এখানে শুধু মহাপরিচালকের রেজিগনেশন নয়, মহাপরিচালকের বিচার এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’

মির্জা ফখরুল বলেন, শুরু থেকে সরকারের দৃষ্টিকটু সমন্বয়হীনতা, অপরিণামদর্শিতা, দোদুল্যমানতা, সিদ্ধান্তহীনতা, ভুল সিদ্ধান্তের কারণে করোনাসংক্রান্ত পদক্ষেপগুলো কার্যত অসফল প্রমাণিত হয়েছে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই ভয়াবহ মহামারিকে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জাতির এই মহাদুর্যোগে ও এই দুঃসময় মহামারিতে তাদের পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। করোনায় বিএনপির কার্যক্রম তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

ভার্চ্যুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির করোনা সম্পর্কিত জাতীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের হারুন আল রশিদ, আবদুস সালাম, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া ও ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

স্বাস্থ্যে শুধু মহাপরিচালক নয়, জড়িত সবাইকে বরখাস্ত করা উচিত: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহাপরিচালককে বরখাস্ত করা উচিত ছিল এবং জড়িত সবাইকে বরখাস্ত করা উচিত। তিনি আবারও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রসঙ্গে কথা বলেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিজাইন করেছেন এবং শোনা যাচ্ছে যে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে। আসলে তাঁকে তো বরখাস্ত করা উচিত ছিল এবং শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকই নন, এর সঙ্গে যাঁরা যাঁরা জড়িত আছেন, ভুল তথ্য দিয়েছেন জনগণকে। তার দায়দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের ওপর বর্তায়। আমরা মনে করি, এখানে শুধু মহাপরিচালকের রেজিগনেশন নয়, মহাপরিচালকের বিচার এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’

মির্জা ফখরুল বলেন, শুরু থেকে সরকারের দৃষ্টিকটু সমন্বয়হীনতা, অপরিণামদর্শিতা, দোদুল্যমানতা, সিদ্ধান্তহীনতা, ভুল সিদ্ধান্তের কারণে করোনাসংক্রান্ত পদক্ষেপগুলো কার্যত অসফল প্রমাণিত হয়েছে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই ভয়াবহ মহামারিকে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জাতির এই মহাদুর্যোগে ও এই দুঃসময় মহামারিতে তাদের পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। করোনায় বিএনপির কার্যক্রম তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

ভার্চ্যুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির করোনা সম্পর্কিত জাতীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের হারুন আল রশিদ, আবদুস সালাম, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া ও ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন।