ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

৬ লাখ আপত্তি এক সিদ্ধান্তে নিষ্পত্তি

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
  • ৭৭৬ পঠিত

বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের এক সিদ্ধান্তেই সমাধান হতে যাচ্ছে ৩৮ বছর ধরে জমে থাকা অনিষ্পন্ন সব নিরীক্ষা বা অডিট আপত্তি। স্বাধীনতার পর, অর্থাৎ ১৯৭১-৭২ অর্থবছর থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত সাধারণ অডিট আপত্তিগুলো বাদ দিচ্ছে সিএজি কার্যালয়। সাংবিধানিক এই সংস্থা গত রোববার ১৭টি অডিট অধিদপ্তরকে এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

সিএজি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি দপ্তরগুলোতে এখন পর্যন্ত গুরুতর আর্থিক অনিয়ম এবং সাধারণ মিলে নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে প্রায় আট লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই সাধারণ। সে হিসেবে নিষ্পন্ন হতে যাচ্ছে ৬ লাখ ৪০ হাজার আপত্তি। সিএজি কার্যালয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের বিষয়গুলোই থাকে, যেগুলো রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। পরে সরকারি হিসাবসম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচিত হয়।

আদেশে সিএজি কার্যালয় বলেছে, মোট আপত্তির ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তি করার কাজে নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং অডিট অধিদপ্তর—উভয়কেই যথেষ্ট জনবল, সময় ও সম্পদ নিয়োজিত রাখতে হচ্ছে। আর এ কারণে সময়োপযোগী, মানসম্পন্ন পারফরম্যান্স অডিট এবং ফিন্যান্সিয়াল অডিট কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত করা সম্ভব হচ্ছে না। আর অডিট নিষ্পত্তি কার্যক্রম যেভাবে চলে আসছিল, তা ব্যয়সাশ্রয়ী ও কার্যকর বলেও এখন বিবেচিত হচ্ছে না।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুক্তি হিসেবে সিএজি কার্যালয় আদেশে বলেছে, এই সাধারণ আপত্তিগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেলে অডিট অধিদপ্তর ও নির্বাহী কর্তৃপক্ষের জনবল, অর্থ ও সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া পেনশন অনুমোদনে ভোগান্তি কমবে এবং সম্ভব হবে ঝুঁকিভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পারফরম্যান্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিট কার্যক্রম জোরদার করা।

অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেরা মুখ্য হিসাবদানকারী কর্মকর্তাদের (পিএও) সঙ্গে মিলে এই নিষ্পত্তির কাজ শেষ করবেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবেরাই হচ্ছেন পিএও। অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেরা পিএওদের এ ব্যাপারে চিঠি দিতে একটি অভিন্ন খসড়াও তৈরি করে দিয়েছে সিএজি কার্যালয়।

জানা গেছে, অধিদপ্তরগুলোর আওতায় ৩৮ বছরে যত সাধারণ আপত্তি আছে, সবই নিষ্পত্তি করতে হবে। নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অধিদপ্তরগুলোর ওই চিঠিই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চিঠি হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ প্রতিটি নিষ্পত্তির জন্য আলাদা নিষ্পত্তিপত্র জারির কোনো দরকার পড়বে না। তবে কোনো নিষ্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা থাকলে তা আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হতে হবে।

যে ৮০ শতাংশ আপত্তি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এগুলোর বেশির ভাগই পদ্ধতিগত সমস্যা, ব্যবস্থাপনা ত্রুটিসংক্রান্ত কারণে হয়েছে। এগুলোর আর্থিক সংশ্লেষও কম এবং সময়ের পরিক্রমায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। সিএজির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কখনোই এগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এগুলো নিয়ে বছরের পর বছর বৈঠক হচ্ছে, জবাবও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সময় ও পয়সা খরচ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। পিএওদের কাছে যে চিঠি পাঠানো হবে, তাতে অডিট অধিদপ্তরগুলো যেন এই কথাগুলো রাখে, সেই পরামর্শ দিয়েছে সিএজি কার্যালয়।

সিএজি কার্যালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বহু বছরের পুরোনা এসব আপত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করাও কঠিন। আবার ক্ষেত্রবিশেষে সুস্পষ্ট দায়দায়িত্ব না থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা আপত্তির কারণে অনেককে পেনশন পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

সিএজি কার্যালয়ের সূত্রগুলো জানায়, সংস্থাটির নজরে এসেছে, ১৯৯৬ সালে একটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন যিনি, সম্প্রতি তিনি একটি বিভাগের সচিব বা পিএও হয়েছেন। কিন্তু তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, ইউএনও থাকার সময় তাঁর নামে ৩০০ টাকার নিরীক্ষা আপত্তি আছে।

আবার একটি দপ্তরের ২০০ টাকার পণ্য ঠিকমতো স্টোরে রাখা হয়নি বলেও নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে একজনের নামে, যিনি কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এমনও রয়েছে যে একটা কাগজ না থাকার কারণে আপত্তি হয়েছে, কিন্তু ওই কাগজ পরে পাওয়া গেলেও নিরীক্ষা আপত্তি আর নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এ ধরনের আপত্তির নিষ্পত্তির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে সিএজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

তবে সাবেক সিএজি এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমান সিএজি কার্যালয় এ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে বলে অভিনন্দন জানাই। অপ্রয়োজনীয় নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তির আয়োজনে খামাখা সময় ও অর্থ নষ্ট হয়। এগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেলে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে অডিট অধিদপ্তরে কর্মরতরা ভালো সময় দিতে পারবে।’

সিএজি কার্যালয়ের আওতাভুক্ত অডিট অধিদপ্তরের কর্মচারী নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার হয় বলে কয়েক বছর আগে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এক ব্যক্তির নিয়োগের জন্য ছয়জন মন্ত্রী, দুজন প্রতিমন্ত্রী, একজন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা তদবির করেছেন।

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

৬ লাখ আপত্তি এক সিদ্ধান্তে নিষ্পত্তি

প্রকাশিত : ০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০

বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের এক সিদ্ধান্তেই সমাধান হতে যাচ্ছে ৩৮ বছর ধরে জমে থাকা অনিষ্পন্ন সব নিরীক্ষা বা অডিট আপত্তি। স্বাধীনতার পর, অর্থাৎ ১৯৭১-৭২ অর্থবছর থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত সাধারণ অডিট আপত্তিগুলো বাদ দিচ্ছে সিএজি কার্যালয়। সাংবিধানিক এই সংস্থা গত রোববার ১৭টি অডিট অধিদপ্তরকে এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

সিএজি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি দপ্তরগুলোতে এখন পর্যন্ত গুরুতর আর্থিক অনিয়ম এবং সাধারণ মিলে নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে প্রায় আট লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই সাধারণ। সে হিসেবে নিষ্পন্ন হতে যাচ্ছে ৬ লাখ ৪০ হাজার আপত্তি। সিএজি কার্যালয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের বিষয়গুলোই থাকে, যেগুলো রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। পরে সরকারি হিসাবসম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচিত হয়।

আদেশে সিএজি কার্যালয় বলেছে, মোট আপত্তির ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তি করার কাজে নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং অডিট অধিদপ্তর—উভয়কেই যথেষ্ট জনবল, সময় ও সম্পদ নিয়োজিত রাখতে হচ্ছে। আর এ কারণে সময়োপযোগী, মানসম্পন্ন পারফরম্যান্স অডিট এবং ফিন্যান্সিয়াল অডিট কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত করা সম্ভব হচ্ছে না। আর অডিট নিষ্পত্তি কার্যক্রম যেভাবে চলে আসছিল, তা ব্যয়সাশ্রয়ী ও কার্যকর বলেও এখন বিবেচিত হচ্ছে না।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুক্তি হিসেবে সিএজি কার্যালয় আদেশে বলেছে, এই সাধারণ আপত্তিগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেলে অডিট অধিদপ্তর ও নির্বাহী কর্তৃপক্ষের জনবল, অর্থ ও সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া পেনশন অনুমোদনে ভোগান্তি কমবে এবং সম্ভব হবে ঝুঁকিভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পারফরম্যান্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিট কার্যক্রম জোরদার করা।

অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেরা মুখ্য হিসাবদানকারী কর্মকর্তাদের (পিএও) সঙ্গে মিলে এই নিষ্পত্তির কাজ শেষ করবেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবেরাই হচ্ছেন পিএও। অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেরা পিএওদের এ ব্যাপারে চিঠি দিতে একটি অভিন্ন খসড়াও তৈরি করে দিয়েছে সিএজি কার্যালয়।

জানা গেছে, অধিদপ্তরগুলোর আওতায় ৩৮ বছরে যত সাধারণ আপত্তি আছে, সবই নিষ্পত্তি করতে হবে। নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অধিদপ্তরগুলোর ওই চিঠিই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চিঠি হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ প্রতিটি নিষ্পত্তির জন্য আলাদা নিষ্পত্তিপত্র জারির কোনো দরকার পড়বে না। তবে কোনো নিষ্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা থাকলে তা আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হতে হবে।

যে ৮০ শতাংশ আপত্তি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এগুলোর বেশির ভাগই পদ্ধতিগত সমস্যা, ব্যবস্থাপনা ত্রুটিসংক্রান্ত কারণে হয়েছে। এগুলোর আর্থিক সংশ্লেষও কম এবং সময়ের পরিক্রমায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। সিএজির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কখনোই এগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এগুলো নিয়ে বছরের পর বছর বৈঠক হচ্ছে, জবাবও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সময় ও পয়সা খরচ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। পিএওদের কাছে যে চিঠি পাঠানো হবে, তাতে অডিট অধিদপ্তরগুলো যেন এই কথাগুলো রাখে, সেই পরামর্শ দিয়েছে সিএজি কার্যালয়।

সিএজি কার্যালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বহু বছরের পুরোনা এসব আপত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করাও কঠিন। আবার ক্ষেত্রবিশেষে সুস্পষ্ট দায়দায়িত্ব না থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা আপত্তির কারণে অনেককে পেনশন পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

সিএজি কার্যালয়ের সূত্রগুলো জানায়, সংস্থাটির নজরে এসেছে, ১৯৯৬ সালে একটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন যিনি, সম্প্রতি তিনি একটি বিভাগের সচিব বা পিএও হয়েছেন। কিন্তু তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, ইউএনও থাকার সময় তাঁর নামে ৩০০ টাকার নিরীক্ষা আপত্তি আছে।

আবার একটি দপ্তরের ২০০ টাকার পণ্য ঠিকমতো স্টোরে রাখা হয়নি বলেও নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে একজনের নামে, যিনি কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এমনও রয়েছে যে একটা কাগজ না থাকার কারণে আপত্তি হয়েছে, কিন্তু ওই কাগজ পরে পাওয়া গেলেও নিরীক্ষা আপত্তি আর নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এ ধরনের আপত্তির নিষ্পত্তির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে সিএজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

তবে সাবেক সিএজি এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমান সিএজি কার্যালয় এ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে বলে অভিনন্দন জানাই। অপ্রয়োজনীয় নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তির আয়োজনে খামাখা সময় ও অর্থ নষ্ট হয়। এগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেলে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে অডিট অধিদপ্তরে কর্মরতরা ভালো সময় দিতে পারবে।’

সিএজি কার্যালয়ের আওতাভুক্ত অডিট অধিদপ্তরের কর্মচারী নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার হয় বলে কয়েক বছর আগে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এক ব্যক্তির নিয়োগের জন্য ছয়জন মন্ত্রী, দুজন প্রতিমন্ত্রী, একজন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা তদবির করেছেন।